বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের উপকুলীয় অঞ্চল গুলো প্রায় প্রতিবারই বন্যায় প্লাবিত হয়। বন্যায় মানুষের জীবন যাত্রার নানা ক্ষয়ক্ষতি হয়। এছাড়া এসময় নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় শিশুদের নিয়ে। এসব স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সঠিকভাবে মোকাবিলা করাই বন্যার সময়ে সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি।
এখন বন্যার পূর্ব এবং পরবর্তী আমাদের কিছু করণীয় আছে যেগুলো মানলে আমরা নিরাপদে থাকতে পারব।
বন্যার পুর্বে করণীয়ঃ বাড়ি টিউবওয়েল উঁচু জায়গায় স্থাপন করতে হবে। রান্নার প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও বহনযোগ্য চুলা কাছে রাখতে হবে শুকনো খাবার সংগ্রহ করতে হবে। যেমন (চিড়া, মুড়ি, গুড়, চিনি)। বন্যা কবলিত নয় এমন স্বজনদের বাড়িতে গবাদি পশু রেখে আসা যেতে পারে। নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সুপেয় পানি নয়, বন্যার সময় আরেক আতঙ্ক হলো সাপ। এসময় সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। তাই বাড়িতে কার্বলিক এসিডের বোতলের মুখ খুলে রাখা যেতে পারে এবং এসময় যেহেতু নানা রোগের উপদ্রব হয় নানা চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং সাথে খাবার স্যালাইন রাখতে হবে।
বন্যাকালীন করনীয়ঃ সবাইকে নিজের শরীরের দিকে যত্ন নিতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের দিকে। বণ্যার পানি দিয়ে রান্না বা খাওয়া যাবে না। এতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। গর্ভবতী মায়েদের দিকেও বিশেষ যত্ন নিতে হবে।এছাড়া নিজ বাড়িতে পানি উঠলে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্র যেতে হবে।