মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন না,এমন মানুষ হয়ত খুজে পাওয়া দুষ্কর।খাবার খাওয়ার পরে আমরা সাধারণত ডেজার্ট বা মিষ্টি জাতীয় কিছু খুজি,যেখানেও চিনির উপস্তিতি রয়েছে।
তবে এই চিনি আমাদের সাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে চলছে যা আমরা হয়তো টেরই পাচ্ছি না।
চিনি হচ্ছে নীরব ঘাতক।চিনি আমাদের শরীরে বিষের মতো কাজ করে থাকে।স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে শরীরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।আমরা যে চিনি খেয়ে থাকি যেমন,চা কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে যে চিনি ব্যবহার করা হয়, সেটি মূলত আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
অনেকেই তাই বলে থাকে সাদা চিনির পরিবর্তে লাল চিনি ব্যবহার করা উচিত। লাল চিনিকে সাদা চিনির থেকে তুলনামূলক ভালো বলা হয়, কারণ এটি রিফাইন করা হয় না বলে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি খনিজ লবণ বিদ্যমান থাকে। চিনিকে রিফাইন করে সাদা করা হলে এর মধ্যে কোনো খনিজ লবণ অবশিষ্ট থাকে না। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে লাল চিনি গ্রহণ করাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে যে ১০টি ক্ষতি হতে পারে তা হলো –
১.হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়,
২.ঘুমের সমস্যা হয়,
৩.শরীরে দ্রুত বয়সের ছাঁপ পড়ে,
৪.দুশ্চিন্তা এবং উদ্বিগ্নতা বাড়তে থাকে,
৫.লিভারের রোগের ঝুঁকি বাড়ে,
৬.ডায়াবেটিস,
৭.হজমে গোলমাল হয়,
৮.ওজন বেড়ে যায়,
৯.জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা সহ বাতের ব্যথার উপদ্রব বাড়ে,
১০.কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি হয়।
এখন তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কতটুকু চিনি খেতে পারব,চিনি তামাকের মতোই ক্ষতি করে।এমনকি চিনিকে সাদা বিষও বলা হয়ে থাকে।চিনি না খাওয়াই সবচেয়ে ভালো তবে প্রয়োজনে একজন ব্যক্তি দৈনিক ২৫ গ্রাম থেকে ৩৬ গ্রাম চিনি গ্রহণ করতে পারেন। একজন নারী দৈনিক ২৫ গ্রাম এবং একজন পুরুষ দৈনিক ৩৬ গ্রাম চিনি খেতে পারেন। এর থেকে বেশি চিনি গ্রহণ করলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।