স্টুডেন্ট অবস্থায় ইনকাম করার কিছু উপায়-

ছাত্র জীবনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ ও কমন উপায় হচ্ছে টিউশনি করা। পারলে ইন্টারমিডিয়েটের স্টুডেন্ট পড়াবে। না পারলে নাইন-টেন বা আরও নিচের ক্লাসের স্টুডেন্টদের পড়াবে। আবার ইদানিংকালে বাসায় না গিয়েও জুম বা গুগল মিটে পড়াতে পারো। এছাড়াও চাইলে কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিতে পারবে। ক্লাস নিতে না পারলে কোচিং সেন্টারে পরীক্ষার খাতার মার্কিং করে টাকা কামাতে পারো। কোচিং সেন্টারের লেকচার শিট তৈরি করে দিতে পারো।

ফ্যাকাল্টিদের কাছে অনেক রিসার্চ বা ডাটা কালেকশনের কাজ আসে সেগুলা করতে পারবে। নোট বানিয়ে সেটা জুনিয়র বা স্কুল কলেজের পোলাপানদের কাছে বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবে। আরো কত কি! স্কিল ডেভেলপ করে ইনকাম।

তোমার কাছে যদি ছয়মাস থেকে এক বছর সময় থাকে। তাহলে আমি বলবো তুমি ছোটখাটো একটা স্কিল ডেভেলপ কর। সেটা হতে পারে ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, প্রেজেন্টেশন তৈরি, এনিমেশন, থ্রি-ডি মডেল, কার্টুন আঁকা।

এই রকম কোন একটা স্কিল ডেভেলপ করবা। তারপর এই টাইপের কাজ তোমার সোশ্যাল মিডিয়াতে বা বিভিন্ন গ্রুপে পাবলিশ করবা। করতে করতে তোমার স্কিল বাড়বে এবং এক সময় দেখবা তোমার সেইসব কাজের জন্যই লোকজন নক দিচ্ছে। তখন সেই কাজ করেই তুমি টাকা ইনকাম করতে পারবে।

Tottho Upatto

বিজনেস করে ইনকাম।
তুমি যে ক্যাম্পাসে থাক। তার আশপাশে হাজার হাজার স্টুডেন্ট আছে। এই হাজার হাজার স্টুডেন্ট থাকার মানে কিন্তু হাজার হাজার কাস্টমার তোমার আশেপাশে আছে। এদের সবারই কিছু না কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। যেমন ধর, কোনো একটা ইভেন্টের জন্য টি শার্ট দরকার। এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য প্রিন্ট করা দরকার। ইভেন্টের জন্য পোস্টার ডিজাইন করা। ইভেন্টে খাবার সাপ্লাই দেয়া। এছাড়াও এরা সবাই বই-খাতা কিনে। মোবাইল কিনে। কম্পিউটার কিনে। জামা কাপড় কিনে। চিন্তা করে দেখছো এইখানে কত কি বিজনেস করার উপায় আছে?

কেউ যদি বিজনেস করতে চায় তাকে যে ক্যাম্পাসে বিজনেস করতে হবে এমন কোন কথা নাই। বরং ক্যাম্পাসের বাইরের কাস্টমারদের জন্যও বিজনেস শুরু করতে পারবে। বিজনেস স্টার্ট করার মোক্ষম সময় হচ্ছে স্টুডেন্ট লাইফ। কারণ তখন তোমার খরচ কম। বাবা-মাকেও টাকা দিতে হচ্ছে না। যার সাথে ইটিশপিটিশ চলছে, সেও খোঁচা দিচ্ছে না।

কিভাবে শুরু করবো?
তবে যেভাবেই টাকা কামাতে যাও না কেন অন্য কেউ এসে তোমাকে গিলিয়ে খাইয়ে দিবে না। প্রথম দিনই কারি কারি টাকা উড়ে এসে উতরে পড়বে না। তাই তোমাকে বিভিন্ন জিনিস বিভিন্নভাবে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষের কাছে ধর্ণা দিতে হবে। অনেকেই হেল্প করবে না। না করে দিবে। চাইলে তোমাকে একটা কানেকশন দিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দিবে না। এসব ক্ষেত্রে তুমি নিজে গিয়ে গিয়ে বের করতে হবে। লেগে থাকতে হবে। একভাবে না হলে অন্যভাবে ট্রাই করতে হবে। তাহলে একটা না একটা রাস্তা অবশ্যই খুলে যাবে।