শিশুর অন্যায় আবদার রক্ষায় করণীয়!

হুমায়ুন আহমেদের একটি জনপ্রিয় উক্তি আছে,”বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান তাদের কাছে একটি জীবন্ত পুতুল। পুতুল যখন হাসে তখন তারাও হাসে,আবার পুতুল যখন কাঁদে তখন তারাও কাদেঁ।

শিশুর অন্যায় আবদার রক্ষায় করণীয়!

তবে, আমার মতে শুধু প্রথম না প্রতিটি সন্তানই তাদের বাবা-মায়ের কাছে একেকটি পুতুল।

প্রতিটা বাবা-মা ই চায় তার সন্তানের প্রতিটি শখ আহ্লাদ পূরণ করতে।তবে দায়িত্বশীল বাবা মা হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো সন্তানের কোনো অন্যায় আবদার পূরণ না করা।আর আপনি যদি আপনার বাচ্চার অন্যায় আবদারও পূরণ করেন, তাহলে আমি হলক করে বলতে পারি আপনি নিজ হাতে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যত নষ্ট করছেন।

এক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকদের একটা অভ্যাস করতে হবে যে যা চাইবে তাই দেয়া যাবে না। এখন একজন বাচ্চা সারাক্ষণই নানা কিছুর জন্য বায়না করবে, তখন আমাদের অভিভাবকদের এইটা মাথায় রাখতে হবে যে ও পুরো মাসে আমার কাছে যা চাইবে আমি তার ২৫% ওকে দিব। যেমনঃ বাচ্চা একবার চকলেট চাইবে, একবার একটা জামা চাইবে।তখন আমরা যেন হ্যা দিচ্ছি,হ্যা দিচ্ছি এমনটা না বলি।যখন আমরা জিনিসটা বাচ্চাকে দিব তখন বলব হ্যা দিব,আর যখন দিব না তখন বলব যে দুঃক্ষিত, আমি তোমাকে এটা দিতে পারব না।

এতে সে ছোটবেলা থেকেই বুঝবে যে যেটা সে চাইবে সবসময় সেটা সে পাবে না।বাস্তবতা হলো শিশুর সব দাবির সঙ্গে হ্যাঁ বলা সম্ভব হয় না। আবার সবসময় না বললে শিশুর মাঝে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। এ কারণে শিশুর সঙ্গে আপনার দূরত্বও তৈরি হতে পারে।

এখন একজন অভিভাবক হিসেবে আমার কি কিছু দ্বায়িত্ব আছে?

হ্যা, একজন অভিভাবক হিসেবে আমার অবশ্যই কিছু দ্বায়িত্ব আছে।আমার বাচ্চার আবদার গুলোকে কখনোই ছোট চোখে দেখা যাবে না। এমনকি কখনো তাকে অন্যের সামনে এইসব বিষয় নিয়ে রাগারাগি করা যাবে না।