ডিপ্রেশন মানুষের জীবনে একটি কমন অধ্যায়। মানুষ না চাইলেও কারণে অকারণে মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তা (depression) এসে ভর করে। সত্যিকার অর্থে ডিপ্রেশন বেশিরভাগ সময় মানুষের দ্বারা অথবা নিজ কৃতকর্মের দ্বারা এসে থাকে।
আমি আমার জীবনের বাস্তব উদাহরণ দ্বারা বলছি- কোন একটা বিষয় নিয়ে আমি দীর্ঘ একটা বছর ডিপ্রেশনে ভুগেছি। সকাল আটটায় অফিসে যেতাম আর অফিস থেকে ফিরতাম বিকেল চারটায়। আমার অফিস ছিল বাসা থেকে পায়ে হেঁটে বিশ (20) মিনিটের পথ। কখনো কখনো আমি এতটা ডিপ্রেশনে ভুগছি যে বাসা থেকে কখন অফিসে চলে গেছি অথবা অফিস থেকে কখন বাসায় এসেছি সেটা বুঝতে পারতাম না। অফিসে আসা যাওয়ার পথটা জানা ছিল তাই সেই চেনা পথ ধরে বাসায় চলে আসতাম। চারদিকে অনেক আলো থাকা সত্ত্বেও মনে হতো কোথাও কোন আলো নেই, সব দিকেই অন্ধকার। পুরো আকাশটা যেন আমার ঘাড়ের উপরে এসে ভর করেছে। রাতে চোখে ঘুম আসতো না। আমার ঘুমানোর বালিশ টা জানে আমার চোখ থেকে একটি বছরে কতটা পানি ঝরেছে। অনেক রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছি। বিছানায় শুয়ে ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে যেত তাও চোখে ঘুম আসতো না। দিন দিন আমি অনেক অসুস্থ হয়ে যেতে থাকলাম। হঠাৎ একদিন রাতে নিজেই ভাবলাম কি হবে এত চিন্তা করে, কই আমি তো অনেকদিন ধরেই অনেক ডিপ্রেশনে ভুগছি, অনেক চিন্তা করেছি কিন্তু কোন লাভ তো হচ্ছে না, ক্ষতি ছাড়া।
সো আমি এখন থেকে আর ভাববো না। যেহেতু এখন রাত তো সকালে সূর্য উঠবেই, নতুন একটা দিন শুরু হবে। হয়তো আমার জীবনে নতুন কিছু আসবে- সেটা ভালো হোক অথবা এর থেকেও খারাপ। সুতরাং এত দুশ্চিন্তা করা যাবে না। এভাবে নিজেকে আর শেষ করা যাবেনা।
আমার ভাবনাটাই ঠিক ছিল- সত্যি-সত্যিই আমার জীবনে নতুন সূর্য উঠেছে, নতুন আলো এসেছে, সব অন্ধকার দূর হয়ে গেছে।
তাই আমি বলব অযথা চিন্তা করবেন না, একটি নতুন সকালের অপেক্ষা করবেন দেখবেন নতুন সকাল আপনাকে নতুন কিছু উপহার দিয়েছে। তবে হ্যাঁ যদি কোন বিষয়ে আপনার জীবনে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় তবে সেটা মোকাবেলা করার পথ খুঁজুন। অহেতুক চিন্তা করে নিজের ঘুম নষ্ট করবেন না, অন্য কেও কষ্ট দেবেন না। আপনার এই ডিপ্রেশনের কারণে হয়তো আপনার ফ্যামিলির লোকজনও আপনার কষ্ট দেখে কষ্ট পাবে। সুতরাং নিজে রিলাক্স থাকুন অন্য কেও রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করুন।