আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।মাছ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর।তবে মাছ খেতে গিয়ে অনেকেরই গলায় কাটাঁ ফুটে যায়।তখন অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।তাই গলায় কাটাঁ ফুটলে অস্থির না হয়ে যে কাজগুলো আমরা করতে পারি তা হলো-
গলায় কাঁটা ফুটেছে?
১। কোকঃ
বাড়িতে কোক জাতীয় পানীয় থাকলে খান। এটি কাঁটা নামানোর সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি। গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে এক নি:শ্বাসে যতটা সম্ভব কোক খেয়ে নিন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
২। অলিভ অয়েলঃ
তেল পিছল পদার্থ। আর অলিভ অয়েল কাঁচা খেলেও ক্ষতি নেই। তাই বাড়িতে যদি অলিভ অয়েল থাকে খেয়ে নিন ১ চামচ। কাঁটা পিছলে গলা থেকে নেমে যাবে।
৩। পাতি লেবুঃ
মাছের কাঁটা নিমেষে নরম করে তুলতে পারে পাতি লেবু। তাই গলায় কাঁটা ফুটলে আগে একটা লেবু কাটুন। নুনে মাখিয়ে রস খেয়ে নিন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে গলা দিয়ে।
৪। সাদা ভাতঃ
সাদা শুকনো ভাতের ছোটো ছোটো বল বানিয়ে চটপট পানি দিয়ে গিলে ফেলতে হবে। মনে রাখবেন, শুধু শুধু সাদা ভাত খেলে কিন্তু গলায় আটকে থাকা জেদি কাঁটা নামাতে পারবেন না।গলায় কাঁটা
৫। ভিনিগারঃ
গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা নামাতে দারুণ কাজ দেয় ভিনিগার। পানির সঙ্গে সামান্য ভিনিগার মিশিয়ে খেলে আটকে থাকা কাঁটা খুব সহজে নেমে যায়। অনেকটা পাতি লেবুর মতো কাজ করে।
৬। হোমিওপ্যাথি ওষুধঃ
বাড়িতে এক শিশি সাইলেশিয়া রাখুন। এই হোমিওপ্যাথি বড়ি গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা, বিশেষ করে কই মাছের খতরনাক কাঁটা গলিয়ে যন্ত্রণামুক্ত করতে পারে আপনাকে।
৭। কলাঃ
কলা পিচ্ছিল। তাই গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে আগেই একটা কলা খেয়ে নিন। কখন গলা থেকে কাঁটা নেমে যাবে টেরই পাবেন না।
৮। পানিঃ
উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানই যদি হাতের কাছে না থাকে, তাহলে অনেক পরিমাণ পানি খেয়েই গলা থেকে কাঁটা নামাতে হবে আপনাকে। ভালো হয় যদি, হালকা গরম পানিতে সামান্য নুন মিশিয়ে খান। তাতে কাঁটা নরম হয়ে তাড়াতাড়ি গলা থেকে নেমে যাবে। আপনিও তাড়াতাড়ি কাঁটা ফোটার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন।