এ্যালোভেরার বৈজ্ঞানিক নাম Aloe Vera, ইংরেজি নাম Burn plant. এটি একটি রসালো উউদ্ভিদ জাতীয় গাছ। এটি দেখতে অনেকটা কাটাযুক্ত গাছের মতো। এ্যালোভেরা আজ থেকে প্রায় ৬০০বছর পূর্বে মিসরে উৎপত্তি লাভ করে। ভেষজ চিকিৎসা ত্বকের যত্ন আরো প্রভৃতি কাজে এ্যালোভেরা ব্যবহার করা হয়।
এ্যালোভেরার রয়েছে বিষ্ময়কর কিছু উপকারীতা।
এ্যালোভেরার জুসঃ এ্যালোভেরার জুসেও রয়েছে নানা উপকারিতা। যারা কোষ্টকাঠিন্যতে ভুগছেন তাদের জন্য এ্যালোভেরার জুস ভীষণ ফলপ্রসূত।
চুল ও ত্বকের যত্নেঃ চুল ও ত্বকের যত্নে এ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম। ত্বকে এ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়,পাশাপাশি যারা চুলে সমস্যায় ভুগছেন যেমন চুল পড়ে যাচ্ছে অথবা চুলে খুশকি তারাও চুলে এ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে উপকার পাবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ্যালোভেরাঃ এ্যালোভেরা মাংশপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে। তাছাড়া দ্রুত হজম,ওজন হ্রাস এবং দাতের ক্ষয়রোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এ্যালোভেরা হার্টকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, মুখের দুর্গন্ধ এবং শরীরের ঘা দ্রুত সারাতে সাহায্য করে।
এছাড়া অ্যালোভেরা নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস। এটিতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি১, বি২, বি৩,বি৬,ও ভিটামিন বি১২ রয়েছে।
শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
সতর্কতাঃ
অ্যালোভেরা খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা ও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যাদের এ্যালার্জি রয়েছে তারা ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরা রাখতে চাইলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।