যখন একজন Narcissist মা প্যারেন্টিং করেন, তখন তার মধ্যে প্রায়ই ফেভারিটিজম (favoritism) দেখা যায়। ধরুন, তার তিনটি সন্তান রয়েছে; তিনি যে কোনো একটি সন্তানকে অতিরিক্ত যত্ন দেন, আর বাকি দুই সন্তানকে যথাযথ যত্ন দেন না।
অধিকাংশ সময়, এই ফেভারিট সন্তানটি হয়তো দেখতে সুন্দর বা লম্বা হওয়ায় তিনি তার ওপর বেশি মনোযোগ দেন। এর মাধ্যমে তিনি নিজের সৌন্দর্য বা গুণাবলির প্রতিফলন দেখাতে চান, যেমনঃ “আমার সন্তান এত সুন্দর কারণ আমি সুন্দর।” এই সন্তানকে তিনি অতিরিক্ত প্রশ্রয় দেন এবং তাকে সকলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তার সাথে শুধুমাত্র ছবি তুলবেন, অন্যদের সাথে তুলবেন না, এবং অন্য সন্তানদের অবহেলা করবেন।
একজন Narcissist মা মূলত Narcissistic গুণাবলী সম্পন্ন একটি সন্তান বড় করতে চান, যাতে সেই শিশুটি বড় হয়ে Narcissistic বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জন করে। এর ফলে, সেই শিশুটি Narcissistic বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে বড় হতে পারে, আর যে সন্তানদের অবহেলা করা হয়, তাদের মধ্যে অনেক সময়ই হিসট্রিয়নিক (histrionic) বা বর্ডারলাইন পারসোনালিটি (Borderline Personality) ট্রেইটস গড়ে ওঠে।
Narcissist মায়েদের মধ্যে প্রচণ্ড ফেভারিটিজম থাকে এবং তারা মনে করেন, তাদের সন্তান যে কিছু ভালো অর্জন করেছে তার জন্য একমাত্র তারাই দায়ী, এবং সন্তানের কোনো ভুল হলে সেটার জন্য তারা দায়ী নন, বরং এটি হয়তো তাদের পার্টনারের দোষ।
এই ধরনের Narcissist মাকে খুশি করা খুবই কঠিন। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, তিনি কখনোই সম্পূর্ণ খুশি হন না এবং সবসময় তার অসন্তুষ্টির জন্য তার পার্টনারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “তোমার কারণে আমি খারাপ হয়েছি,” “তোমার কারণে আমি ভুল পথে গেছি,” ইত্যাদি।
Narcissist মা নিজের ভুল কখনোই স্বীকার করেন না এবং সন্তানদেরও এ ধরনের মানসিকতা শেখান। ফেভারিটিজম তাদের মধ্যে খুব প্রবল থাকে। তারা মনে করেন, সন্তানের যতটুকু সাফল্য এসেছে, সেটার সব ক্রেডিট তাদের। তারা সন্তানের সাফল্যের জন্য সন্তানকেও ক্রেডিট দিতে চান না, এমনকি সন্তানের বাবাকেও ক্রেডিট দিতে চান না।