আত্মহত্যা করার পেছনে দায়ী যে জীবাণু!

প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৭লক্ষ্য মানুষ আত্মহত্যা করে এবং পরবর্তীতে আমরা এই আত্মহত্যার কারণগুলো জানতে পারি।
এই আত্মহত্যার একটি কারণ হচ্ছে এক ধরনের জীবাণুর আক্রমণ। এই জীবাণু আজান্তেই আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং চিন্তাভাবনা, মস্তিষ্ককে প্রভবিত করতে পারে। এটি একধরনের এককোষী পরজীবি।যার নাম Toxoplasma gondii.
এইগুলো নিয়ে অনেকে গবেষণা হয়েছে যার ফলাফল স্বরুপ জানা গেছে, পৃথিবীতে যত আত্মহত্যা হয়ে থাকে তার ১০ভাগের ১ভাগ এ হত্যার জন্য দায়ী হচ্ছে এই জীবাণু। আর তাছাড়া পৃথিবীতে যত রোড অ্যাক্সিডেন্ট ঘটে তার ১৭ভাগই ঘটায় এই জীবাণু। এছাড়া এরা যখন ইদুরের শরীরে থাকে তখন এরা ইদুরের ব্রেইনকে প্রভাবিত করে বিড়ালের কাছে যাওয়ার জন্য।

এই জীবাণু কিভাবে ব্রেইনকে প্রভাবিত করে? আশ্চর্যজনক ভাবে পৃথিবীতে ৩ভাগের ১ভাগ মানুষের শরীরেরই এই জীবাণু রয়েছে। এতে আমি বা আপনিও আক্রান্ত হতে পারি।
এই ভাইরাস সাধারণত ইদুর থেকে বিড়ালের শরীরে প্রবেশ করে ফলে যখন তারা পায়খানা করে তখন তা প্রকৃতিতে উন্মুক্ত হয়ে পরে এবং সেখান থেকেই কোনভাবে মানবদেহে প্রবেশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভাইরাস মানুষের চিন্তাভাবনাকে স্লো করে দিচ্ছে। যেমন ধরেন যেই মুহূর্তে আপনার রিয়াকশন করা উচিত তখন আপনার চিন্তাভাবনা স্লো হয়ে গেছে। এর ফলেও অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে থাকে।

এখন আসি পৃথিবীর ৩ভাগ মানুষই যেহেতু এই ভাইরাসে আক্রান্ত তাহলে তারা সবাই আত্মহত্যা করেনা কেন?
উত্তর টা হচ্ছে এই জীবাণু একটি দুর্বল জীবাণু। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। একজন মানুষ যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিক তার শরীরে যদি এই ভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে তার শরীর সেই ভাইরাস ধংস করতে সক্ষম। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের শরীরে এই জীবাণু প্রবেশ করতে তার ক্ষতি স্বাধন করতে পারে। তবে সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীনে রয়েছে গর্ভবতী মায়েরা। এই ভাইরাস মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরেও প্রবেশ করতে পারে এবং ক্ষতি করতে পারে।
তাহলে এই ভাইরাস প্রতিরোধে উপায় হলোঃ বাসায় বিড়াল পুষলে সে যেন বেডরুমে না ঢুকতে পারে। যেকোন খাবার ভালো করে সিদ্ধ করে খাবেন। কোন কিছু খাবার আগে দুই হাত অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খাবেন।